হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে আগামী ২২ অক্টোবর। এ উপলক্ষে সারাদেশের মত বালাগঞ্জেও দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষে বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে। বালাগঞ্জে এবার ২৯টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, চলতি বছর বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১১টি, বোয়ালজুড় ইউনিয়নে ৬টি, পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে ৫টি, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে ৩টি, দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে ১টি এবং পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে ২টিসহ মোট ২৮টি সার্বজনীন মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের ১টি পারিবারিক মণ্ডপেও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বালাগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক রজত চন্দ্র দাস ভুলন এবং সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদার জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে এবারের দুর্গাপূজা শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আচার-সংস্কৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মণ্ডপগুলোতে পূজা পালন করা হবে। এদিকে বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য, যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এসএম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব মতিউর রহমান শাহীনের পক্ষ দুর্গাপূজা উপলক্ষে শাড়ি উপহার বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বালাগঞ্জ বাজারস্থ শ্রী মদন মোহন আশ্রমে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে ১শ ৪০টি শাড়ি বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি, সাংবাদিক রজত চন্দ্র দাস ভুলন। উপজেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদারের পচিালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডা. পবিত্র রঞ্জন বণিক, সাধারণ সম্পাদক শান্তিব্রত চৌধুরী, উপজেলা পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি প্রদীপ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবুল দাস, পুলক দাস দুরন্ত, উপজেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল দাস আপনসহ মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ। একই অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রদত্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং সরকারি বরাদ্দ বিতরণ করা হয়।