বালাগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় মধ্যস্থতা করতে গিয়ে হামলায় নিহত রাজমিস্ত্রি ঠিকাদার ছমির আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামী মছব্বির আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর উপজেলার গহরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও বালাগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ০৬ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মোরারবাজারে পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। মোরারবাজারের চা-দোকানী স্থানীয় আহমদপুর গ্রামের মছব্বির আলী একই গ্রামের ক্রেতা পারভেজ মিয়া (৩২)’র কাছে পাওনা ২শ ২০টাকা চাইতে গেলে উভয় পক্ষে মারামারির সূত্রপাত হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে দোকানী মছব্বির আলী পারভেজ মিয়াকে ছাতা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পারভেজ রক্তাক্ত জখম হলে পারভেজের ফুফা ছমির আলী (৪৫)সহ স্থানীয়রা মধ্যস্থ করতে আসেন। এসময় মছব্বির আলী ‘ছমির আলীর বুকে কিল, ঘুষি ও স্বজোরে লাথি’ মারেন। এরপর ছমির আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গত ০৭ অক্টোবর বিকালে ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় আহমদপুর পঞ্চায়েতি কবরস্থানে ছমির আলীর দাফন সম্পন্ন হয়। ছমির আলী স্থানীয় আহমদপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে। ইমন আহমদ (১৫) ও নাঈম আহমদ (১৩) নামে ছমির মিয়ার দু’টি ছেলে রয়েছে। এর মধ্যে ইমন আহমদ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে। হত্যাকা-ের শিকার ছমির আলীর স্ত্রী ফাতেহা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় গত ০৮ অক্টোবর বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মছব্বির আলীকে একমাত্র আসামী করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলা নম্বর-০৪। ধারা ৩০২ (পেনাল কোড)। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘বালাগঞ্জ থানা এলাকা’ থেকে মছব্বির আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে নিহত ছমির আলীর স্ত্রী ফাতেহা বেগমসহ এলাকাবাসী মামলার আসামী মছব্বির আলীকে গ্রেফতারের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা এ ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত আসামীর দ্রুত বিচার এবং ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।