চট্টগ্রাম মহানগরীর গরুর বাজারগুলোতে যে কোন ধরনের চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধে ড্রোন ব্যবহার করবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। থাকবে সিসিটিভিও।
একই সাথে গরু বহনকারী সকল ট্রাক ট্রাফিক পুলিশের চেকিং-এর আওতার বাইরে থাকবে। অস্ত্র কিংবা মাদক পরিবহনের সুনির্দিষ্ট তথ্যছাড়া কোন গরুবাহী ট্রাক কাগজপত্র চেকিং-এর জন্য থামানো হবেনা। শনিবার দুপুরে নগরীর দামপাড়াস্থ পুলিশ কমিশনারের কনফারেন্স হলে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে গরু-ছাগল কেনা বেচা এবং সবার জন্য ঈদুল আজহা শান্তিপূর্ণ নির্বিঘ্ন ও আনন্দঘন করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি-চাঁদাবাজি বন্ধ করতে নগর পুলিশের সবগুলো টিম একই সাথে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ পুলিশের বিশেষায়িত সবগুলো টিম গরুর হাট ও গরুবাহী গাড়ির নিরাপত্তায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে। কাগজপত্র পরীক্ষার নামে গরুবাহী কোন ট্রাক যেন রাস্তায় থামিয়ে চেকিং বা হয়রানি করা না হয় এ ব্যাপারে নগর ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’
পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোন গোয়েন্দা তথ্য ছাড়া কোন কোরবানির পশুবাহী ট্রাক রাস্তায় থামাবে না বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া গরুর হাটে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এবার প্রথমবারের মতো হাটে সিসিটিভি’র পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে। জাল টাকা সনাক্ত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন প্রতিটি হাটে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা, পশুবাহী যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচল, হাটকেন্দ্রীক চাঁদাবাজি ও ক্রেতা বিক্রেতাদের হয়রানি বন্ধে নগর পুলিশের সকল থানার ওসি, সকল হাট ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে নিয়ে মত বিনিময় সভা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
প্রেস ব্রিফিংএ নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, উপ-কমিশনারসহ নগরীর সবগুলো থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র,রাইজিংবিডি.কম