বহুল আলোচিত জৈনপুরী পীর এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর (হেলিকপ্টার হুজুর) ভাই নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি গার্মেন্টসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাঠানটুলী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে একটি দোনলা বন্দুক ও কয়েকটি গুলির খোসাসহ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ বলছে, নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্তার অভিযোগ রয়েছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৫ এপ্রিল দিনগত রাতে এনায়েত উল্লাহ আবাসীর নেতৃত্বে জঙ্গি কায়দায় পাঠানটুলী এলাকায় এইচ এন এ্যাপারেলস নামে একটি গার্মেন্টস কারখানার দেয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ ওই রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নেয়ামত উল্লাহ আবাসীকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় পুলিশ পরদিন চার আসামিকে গ্রেফতার করলেও নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে থাকেন। পরদিন রিভলবার হাতে এসএমজি নিয়ে জঙ্গি আদলে তোলা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি। এরপরই এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, জঙ্গি আদলে তোলা ছবিটির কারণে গ্রেফতারকৃত নেয়ামতউল্লাহ আবাসীর চালচলন ও গতিবিধি নিয়ে জঙ্গি সম্পৃক্ততার সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। কোনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে বাস্তবে তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একই সাথে উদ্ধারকৃত গুলির খোসাগুলো কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং কী উদ্দেশে তিনি অস্ত্র হাতে জঙ্গি স্টাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করেছেন সে বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গ্রেফতারের পর নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ তার বিষয়ে তদন্ত চলছে উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাকেণ্ড জড়িতদের পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।