চট্টগ্রাম বিভাগেও সেরা নোয়াখালী সদর উপজেলা ইউএনও আরিফুল।

বাংলাদেশ

ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ের পর এবার চট্টগ্রাম বিভাগেও শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন মো.আরিফুল ইসলাম সরদার। ২০১৯ সালে ২১টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হন।

একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক বেগমগঞ্জের ভোলাবাদশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবিএম ছাইফুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এসএমসি সেনবাগ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু নাছের দুলাল, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব এবং ঝরে পড়া হার উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমাতে পারায় সদর উপজেলার বারাহীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ হয়েছে।

সোমবার সকালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বাছাই কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো.আবদুল মান্নান এবং সদস্য সচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সুলতান মিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০১৯ ও ২০১৮ সালে আরিফুল ইসলাম সরদার নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।

মো. আরিফুল ইসলাম সরদার ২০১৭ সালের ১১ মে নোয়াখালী সদর উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শুক্তা গ্রামের মৃত আ.স.ম মঈনুদ্দীন সরদার ও মৃত মমতাজ বেগমের ছেলে। তার সহধর্মিণী মিথিলা জাহান নীপা নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ।

আরিফুল ইসলাম সরদার ১৯৯৭ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯৯ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা-পানি ও পরিবেশ বিভাগ থেকে অনার্স এবং ২০০৫ সালে মাস্টার্স পাস করেন। বিসিএস প্রশাসন ২৯তম ব্যাচের মাধ্যমে চাকরি জীবনে যোগদান করেন তিনি।

নোয়াখালী সদরে যোগদানের পর থেকেই মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন উপজেলাবাসীর মন। তিনি একজন শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ইতোমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য উপজেলার অন্য কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ, মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে খেলাধুলা, অবসর বিনোদনের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। যানজট নিরসন এবং বেকার সমস্যা সমাধানকল্পে কারিগরি শিক্ষা, হস্তশিল্প, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতিমুক্ত সেবার মান বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন

তিনি।

শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলার প্রত্যেকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজগুলো পরিদর্শন করেছেন আরিফুল ইসলাম সরদার। নির্বাহী অফিসার হিসেবে তার তত্ত্বাবধানে চলছে আধুনিক আদর্শ সদর উপজেলা গড়ার কাজ।

মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, বাবা মরহুম আ.স.ম মঈনুদ্দীন সরদার দীর্ঘ ৩০ বছর কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি মীড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তিনি ১৯৯৭ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন। বাবার আদর্শ বুকে লালন করেই শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নই হলো শিক্ষার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।

শিক্ষাবান্ধব এ কর্মকর্তা সেরা নির্বাচিত হওয়ায় প্রাশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.