১০৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাক হানাদার বাহিনীকে পথঘাট চেনাতে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে, তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অন্যদের নামের তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, একাত্তরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।

রাজাকারের এ তালিকা বিশেষ করে নাম-ঠিকানা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংগ্রহ করে রাজাকারদের তালিকা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক রাজাকার-আলবদরের রেকর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকারদের নাম-পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছিল। ওই সময় গ্রামে-গঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বার ছিল, তাদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। গ্রামের এসব মেম্বার এবং বিভিন্ন দল (যেমন জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা, কনভেনশন মুসলিম লীগ) যারা পাকিস্তানের সমর্থক- ওই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।

এসব দলের নেতা রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তবে রাজাকার বাহিনী তৈরির পেছনে ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী এবং তাদের জেনারেলরা।

ওই সব বেতনভুক্ত রাজাকার এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল, তাদের নিয়েই রাজাকারের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.