![](https://dainikajkermeghna.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর কোম্পানী টেলিকটের একটি টাওয়ারে গত ৬ মাস যাবত নেটওর্য়াক নেই। এতে গ্রাহকসহ সেবাগ্রহিতারা ভোগান্তির শিকার হয়ে অপারেটরটির হেল্প লাইনে বারবার জানালেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে রাষ্ট্রীয় এ ফোনটির সেবার প্রতি তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার ও সংলগ্ন এলাকার টেলিটক গ্রাহক সেবাগ্রহিতারা এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিকট বিষয়টি জানিয়েছেন টেলিটকের স্থানীয় গ্রাহক ও বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল গনি সওদাগরসহ অপর কয়েকজন।
জনাব গণি জানান, নিজদের দেশের পণ্যের প্রতি মমতা দেখিয়ে টেলিটকের একটি সীম সব সময় মোবাইলে সচল রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু টেলিটক থেকে কোন ধরনের ভালো আচরণ পাইনি। এরমধ্যে এ বছরের মার্চ মাস থেকে আমার সেটে টেলিটকের সিগনাল বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে নিজের সেটের সমস্যা ভেবেছিলাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আমার এলাকার টাওয়ারটি বির্পযস্থ। দীর্ঘ ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো নেটওর্য়াক সিগনালের দেখা নেই।
অন্যদিকে শিক্ষার্থী জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আমি টেলিটকের গ্রাহক না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন পত্রের ফি টেলিটক দিয়ে পরিশোধ করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত তোরাবগঞ্জের টাওয়ারটি বন্ধ থাকায় আমার মতো বহু শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
সাংবাদিক সানা উল্লাহ সানু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ টাওয়ারের নেটওয়ার্ট ঠিক করার বিষয়ে অনন্ত ৫ বার টেলিটকে অভিযোগ করেছি, কিন্ত সাড়া আসেনি। তিনি আরো জানান, এ টাওয়ারে টেলিটকের ইন্টারনেট সংযোগও ছিল। যেটা এ যুগে কল্পনাই করা যায় না। অথচ টেলিটক দাবি করে তারা নাকি থ্রিজি। আমরা তো কোন জি-ই পাচ্ছি না।
জনাব সানু, টেলিটকের গ্রাহকদের প্রতি এ ধরনের আচরণের পিছনে কর্মকর্তাদের সাথে অন্য কোম্পানির সাথে গোপন আতাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করেন।
এদিকে টেলিকম ব্যবসায়ী সুমন জানান, অনেক গ্রাহক দোকানে এসে টেলিটকের নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা বলে। কর্তৃপক্ষ কাছে দাবি করেও এর কোন প্রতিকার মিলেনি।