দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি বানভাসী মানুষের

বাংলাদেশ

দেশের বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি বানভাসী মানুষের। বন্যাকবলিত এলাকায় ফুটে উঠেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

পানি নেমে যাওয়ার পর জামালপুরে বন্যার আঘাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া বসতবাড়িতে উঠতে পারছেন না অনেকে। জেলার ৭ হাজার ২শ ৫০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকারিভাবে পুনর্বাসনের দাবি স্থানীয়দের। একজন বলেন, ‘কিছু টাকা পাইলে আমরা কিছু টিন এবং মাটি কাটার বাড়ি কাজ করতে পারবো।’

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। এতে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার প্রায় ৪ হাজারের মতো মাছ চাষী ও খামারীরা।

ঝিনাইদহে গড়াই নদীর পানি বেড়ে ভাঙনের কবলে পড়েছে ৬টি গ্রাম। বাড়ি-ঘর, মসজিদ, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার দাবি স্থানীয়দের। একজন বলেন, ‘বাড়ি ঘর সব নদীর গর্ভে চলে গেল।

আরেক জন বলেন, সরকার যদি আমাদের কিছু সাহায্য সহযোগিতা করতো, তাহলে আমরা উপকার হতাম।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, তৎপরতার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য শস্য সহ ঘর বাড়ি নির্মাণের জন্য টিন প্রয়োজন হলে, আমরা সেই পরিমাণ জিনিস তাদের কাছে সরবরাহ করবো।

শরীয়তপুরে এখনো কয়েকটি ইউনিয়নে ফসলের মাঠ জলমগ্ন হয়ে আছে। এতে পচেঁ নষ্ট হচ্ছে পাট ও ধানের ক্ষেত। ঝালকাঠিতে জোয়ারের পানি বেড়ে নদী তীরের নাচনমহল, ভবানিপুরসহ ২৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে আছে ফসল ও সবজির ক্ষেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.