![](https://dainikajkermeghna.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া সরকারী কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্লিনিকটি নিয়মিত খোলা রেখে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মাহিম হাওলাদার, বাদশা মোল্লা, সাহিদা ও নুহু হাওলাদারসহ একাধিক এলাকাবাসি বরিশাল বিভাগিয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের সি.এইচ.সি.পি মোঃ রফিকুল ইসলাম দির্ঘদিনধরে নিয়মিত অফিস করেননা। প্রতিমাসে মাত্র ৭/৮ দিন অফিসে উপস্থিত হলেও অল্প কিছুক্ষণ থাকার পরেই অফিস বন্ধ করে চলে যান। তার রাজাপুর সদরের বাইপাস মোড় এলাকায় ও বাগরী এলাকায় দুটি চায়নিজ রেস্তোরা রয়েছে। সে তার চায়নিজ রেস্তোরার ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। কিন্তু সেবা নিতে আসা লোকজন মোবাইলে ফোন দিলে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি অফিসের কাজে রাজাপুরে আছেন। ওই ক্লিনিকের অপর দুই কর্মচারী মোঃ হায়দার হোসেন (এইচ.এ) এবং বিনীতা রানীর (এফ.ডবিউ.এ) কাছে এলকাবাসি ক্লিনিক খোলার কথা বললে, খোলার দায়ীত্ব তাদের নয় বলে তারা জানান। এর ফলে ওই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা লোকজন সরকারী ঔষধ সঠিকভাবে পাচ্ছেননা।
অপর দিকে ২০১৯-২০২০ সালে ওই ক্লিনিক সংস্কারের জন্য বরাদ্ধের টাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ওই ক্লিনিকের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সি.এইচ.সি.পি মোঃ রফিকুল ইসলাম ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে করিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ছাদ ঢালাইয়ের দুইদিন পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও ইউনিয়ন পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ক্লিনিকে উপস্থিত হলে ক্লিনিকের সি.এইচ.সি.পি মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয় বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সি.এইচ.সি.পি মোঃ রফিকুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, গত তিনমাস করোনা কালিন সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে কাজ করিয়েছেন। বর্তমানে সে নিয়মিত অফিস করেন। রাজাপুরে তার দুটি চায়নিজ রেস্তোরা রয়েছে বলে সে নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসি উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী বলেন, এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।