তিতাসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে সামসুদ্দিন এর উপর সন্ত্রাসী হামলা

বাংলাদেশ কুমিল্লা
মোঃ বিল্লাল মোল্লা তিতাসঃ কুমিল্লা তিতাস উপজলা মজিদপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, একটি মোটর সাইকেলের ইস্যু নিয়ে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপরে মোঃ সামসুদ্দীন ছোট শিশু বাচ্ছাকে নিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা মোঃ হোসেন গং ৮/১০জন মিলে দেশীয় অস্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশে সন্ত্রাসী হামলা করে।আহতের ছোট ভাই মোঃ সাইফুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ হোসেন গংরা ৮/১০ জন মিলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।আমার ছোট ভাই সাছুউদ্দিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে ঢাকা প্রেরণ করেছে। আমার ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের বিচারের জন্য তিতাস থানায় মামলা করেছি।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় সামছুউদ্দিন হোসেন গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে পূর্ব শত্রুতার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে,তারই জের ধরে পাশের গ্রাম কাকিয়া খালির বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলকে কেন্দ্র করে সামসুউদ্দিনের উপর হামলা করে।সামছুাুদ্দিনের মা ছাবেদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন তার ছেলে সামছুউদ্দিন পাশের গ্রামের বিমল চন্দ্র দাসের মটর সাইকেলটি চালাতে আনে। এসময় সাইদুল,আনোয়ারগং মটর সাইকেলটি নিয়ে যেতে চায়,আমার ছেলে তাদেরকে না দিয়ে, যার মটর সাইকেল তাকে ফেরৎ দিয়ে দেয়।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার ছোট ছেলে সাইফুদ্দিনের স্ত্রী শাহিনুরকে মারধর করে, এবং আমার বাড়ীর পশ্চিম পাশের ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলে আমি বিষয়টি সমাধান করার জন্য মোঃ বাবুল মেম্বার (সাবেক)কে জানাই।পরে আমার ছেলে সামসুউদ্দিন তার শিশু বাচ্চাকে দোকানে নিয়ে যাওয়ার সময় কানু মিয়ার বাড়ির সামনে গেলে মোঃ হোসেন সাইদুল,আনোয়ার গংরা পূর্ব থেকে উতপেতে সংঘ বদ্ধ হয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলো পাতারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর আহত করে।এর আগেও ২০০৭ সালে আমার ছেলেকে তারা কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে,আল্লাহ আমার ছেলেকে বাচিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে মোঃ বাবুল মেম্বার ( সাবেক) সাংবাদিকদের বলেন মোঃ হোসেন গংরা  শামসুদ্দীনের ওয়াল ভাঙ্গা  বিষয় আমাকে জানান আমি বলছি উভয়  পক্ষের সাথে আলাপ করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেব এবং মোঃ হোসেন গংদের বলেছি  বিকালে মিমাংশা করে দেব।মটর সাইকেলের মালিক বিমল চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন শামসুদ্দিন আমার নিকট হতে চালানোর জন্য মোটরসাইকেল এনেছে আমি  স্ব ইচ্ছায় দিয়েছি,এব আমার সাইকেল ফিরে পেয়েছি।
এদিকে হোসেন মিয়ার ছোট ভাই মোঃ বাদশা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন  মোটর সাইকেলের ইস্যু নিয়ে আনোর ও সাইদুল গংরা মোঃ সামসুদ্দীনের সাথে মারামারি করেছে আমার ভাই হোসেন ও রতন মারামারিতে জরিত নয়।বিষয়টি জানার জন্য আনোয়ার মিয়ার বাড়িতে গেলে অানোয়ারের ঘড় তালাবদ্ধ থাকায় আনোয়ারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলা তদন্ত কারী তিতাস থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আহতের ভাই মোঃ সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে গত ০১/০৩/২০২০ তারিখে তিতাস থানায় মামলা করেন, মামলা নং( ০১) ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৫০৬/৪২৭/ মামলা প্রেক্ষিতে আমি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে হামলার সত্যতার প্রমান পাওয়া গিয়েছে, তবে আহত সামসুউদ্দিন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.