টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের মুখে খেই হারিয়ে ফেলে ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভারতীয় ইনিংসে আঘাত হানে বাংলাদেশের বোলাররা। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরে যান ভারতীয় ওপেনার অর্জুন আজাদ।
এরপর মাঠে নেমে দাঁড়াতেই পারেনি তিলক ভার্মা। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভারতের অন্যতম সম্ভাবনাময়ী এই ব্যাটসম্যান। নামের পাশে লিখেছেন কেবল ২ রান।
দলীয় ৮ রানের মাথায় পতন ঘটে তৃতীয় উইকেটের। ওপেনার সুভেদ পারকার মাত্র ৪ রানেই ফিরে যান রানআউটের খাঁড়ায় কাটা পড়ে।
এরপর অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল এবং সাসওয়াত রাওয়াত মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর আঘাত হানেন অফ স্পিনার শামীম হোসেন। এলবিডব্লিউর শিকার করেন তিনি রাওয়াতকে। ১৯ রান করে ফিরে যান ভারতের মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। একই ওভারে এক বলের ব্যবধানে মাঠে নেমেই শূন্য রানে ফিরে যান বরুন লেভান্ডে।
৫৩ রানে ৫ম উইকেট পড়ার পর ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক জুরেল আর অথর্ভ আনকোলেকার মিলে চেষ্টা করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার। কিন্তু আবারও রানআউটের খাঁড়ায় পড়তে হলো ভারতকে। মাহমুদুল হাসান জয়ের সরাসরি থ্রোতে দলীয় ৬১ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফিরে যান আনকোলেকার। করলেন মাত্র ২ রান।
৬২ রানের মাথায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশের সামনে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অধিনায়ক ধ্রুব জুরেল। ৫৭ বল খেলে তিনি করেন ৩২ রান। কিন্তু দলীয় ৬২ রানের মাথায় শামীম হোসেনের বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভারত অধিনায়ক।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের রান ২১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৪। করন লাল ২ রানে এবং সুসান্ত মিশ্র রয়েছেন শূন্য রানে। স্পিনার শামীম হোসেন নিলেন ৩ উইকেট।