বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।
চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাংলাদেশিদের জন্য প্রচুর পরিমাণে টেস্ট কিটসহ জরুরি অ্যান্টি-মহামারি চিকিৎসা-সামগ্রী সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মহামারি প্রতিরোধে চীন সবসময় বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হবে।
এর আগেও করোনাভাইরাস শনাক্তে বাংলাদেশকে ৫০০ কিট উপহার দেয় চীন। ফেব্রুয়ারিতে এসব কিট বাংলাদেশে পৌঁছায়। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে সমবেদনা প্রকাশ করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি চীন সরকারকে মাস্ক, গ্লাভস উপহার দেয় বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর পরে আবারও নতুন করে পাশে থাকার দিল চীন।এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, করোনা শনাক্তে ফিলিপাইনকে এক লাখ টেস্ট কিট সরবরাহ করেছে চীন। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশকে চিকিৎসা-সামগ্রী সরবরাহ করে সহযোগিতা করেছে করোনায় বিপর্যস্ত দেশটি।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া তিনি ডায়েবেটিস ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার (১৮ মার্চ) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে শনাক্ত হয়েছিল প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৮ হাজারের বেশি মানুষ।
চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ২২৬ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার ৮৮১ জন। গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কেউ মারা যাননি, আক্রান্তের সংখ্যাও খুবই সামান্য।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন।