তাসনিম লোপা পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরে। গত বছরের শেষ দিকে অনলাইনে টাঙ্গাইলের মণিপুরি তাঁতিদের জুম শাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বেশ সাড়া পাওয়া যায়। এরপর শুরু করলেন সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত খাঁটি মধু বিক্রি। তাসনিম আঁকতেও পারেন। তাই নতুন যুক্ত হয়েছে হাতের তৈরি গয়না। সব মিলে মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা।
তাসনিম লোপা বরুড়া উপজেলা পয়ালগাছা ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামের আরিফুল ইসলামের সহধর্মিণী। স্বামী ও এক মেয়ে নিয়ে এখন থাকেন সাভারে। চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও তা হয়নি বিভিন্ন কারণে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী স্বামীর কাছ থেকেও টাকা নিতে ইচ্ছে করে না। তাই শুরু করেন অনলাইন ব্যবসা।
তাসনিম বললেন, ‘পণ্যের অর্ডার অনলাইনে (ফেসবুক পেজ) এবং পরিচিত আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে পাই। তার নিজস্ব একটি ফেসবুক পেজ আছে। এই পেজ থেকে তার বিভিন্ন পণ্যে এড দিয়ে থাকেন। দূরের পণ্যের অর্ডার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছাই। আয় বাড়ছে।
তাসনিম সফল উদ্যোক্তা হতে চান। বড় উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এখন কষ্ট করছেন বলে জানালেন। বর্তমানে শাড়ি, থ্রিপিস,শার্ট, টিশার্ট, কাঠের গহনা ও খাঁটি মধু নিয়ে কাজ করছেন।
উদ্যোক্তা হতে গিয়ে পরিবার থেকে বাঁধা কিংবা সহযোগিতা পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়নি। উল্টা সবার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি। সব থেকে বেশি সাপোর্ট করতেছে আমার হাজব্যান্ড। যিনি না থাকলে হয়তো আমার উদ্যোগ পরিপূর্ণতা পেত না।