অবৈধ মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আবারো সতর্ক করল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে বিটিআরসি থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ের পূর্বে সেটটির বৈধতা আইএমইএ-এর মাধ্যমে যাচাই করে ক্রয় করা এবং বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রয় রশিদ গ্রহণপূর্বক তা সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে মোবাইল হ্যান্ডসেট ক্রয়/বিক্রয় এর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতিও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয়া হয়েছে-
মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ তে প্রেরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, মোবাইলের বক্সে/প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার হতে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে হ্যান্ডসেটের IMEI নম্বর জানা যাবে।
এতে আরো বলা হয়, ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখ থেকে যেসকল নকল/ক্লোন আএসইআই সম্বলিত ও অবৈধভাবে আমদানীকৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে সেগুলো অচিরেই স্থাপিতব্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট হডেন্টিটি রেজিস্টার (এইআইআর) এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
সম্প্রতি অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থার প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ ব্যবস্থা কার্যকরভাবে চালু হলে অবৈধভাবে দেশে আনা মুঠোফোন মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনইআইআর চালুর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে ২৫-৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। যার কারণে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।