হঠাৎ দেখলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভেবে ভুল মনে হবে যে কারো। মনে হবে সেকি ঠিক দেখছে নাকি মনের ভুল। আর মেঠো পথ বা মধুমতির তীর ধরে যদি তাকে হাঁটতে দেখা যায়, তবে তো কথাই নাই। চেহারা, পোশাক আর বেশ ভুষায় বঙ্গবন্ধু বলে ভুল করবেন যে কেউ। অবাক দৃষ্টিতি চেয়ে থাকেন সবাই। মনে হবে এযেন আরেক বঙ্গবন্ধু। বলছিলাম বঙ্গবন্ধুকে মনে প্রাণে ধারণ করা আরুক মুন্সীর কথা।
গ্রামের মেঠো পথ আর মধুমতি নদী পাড়ের মানুষের সাথে তাঁর সখ্য আজীবনের। তাই তো সময় পেলেই ছুটে আসেন প্রিয় নদী মধুমতির তীরে।
অবশ্য নিজেকে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক মনে করেন আরুক মুন্সী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে চলতে চান তিনি, বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
আরুক মুন্সীকে দেখতে অনেকটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো। আর যখন বঙ্গবন্ধুর মতো পোশাক পরে তিনি বের হন, তখন তাঁকে দেখতে ভীড় করে সাধারণ মানুষ। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল গ্রামে জন্ম নেয়া আরুক মুন্সী চাকরি করেন ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে। তিনি এখন নড়াইলের ইতনা গ্রামের সুচাইল গ্রামে বসবাস করছেন। বাড়িতে তেমন একটা না আসলেও বিভিন্ন উৎসবে বাড়িতে আসেন।
এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে এ প্রজন্মের লোকেরা যারা জাতির জনকের ছবি দেখেছেন কেবলমাত্র তারা আরুক মুন্সীকে দেখার জন্য ভিড় করে থাকে। আরুক মন্সী যদিও ঢাকায়ই থাকেন। কিন্তু, যখন তিনি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তখন তাকে দেখার জন্য অনেকই ভিড় করে থাকেন, চেয়ে থাকেন অবাক দৃষ্টিতে। এ যেন আরেক বঙ্গবন্ধু। অনেকেই তার সাথে সেলফি তোলেন একট কুশল বিনিময় করে মনের শান্তি পান।
কাশিয়ানী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান বলেন, সত্যিই তাকে হঠাৎ করে দেখলে বঙ্গবন্ধুর মতো দেখায়। হঠাৎ করে কেউ তাকে দেখলে বঙ্গবন্ধু ভেবে ভুল করতে বাধ্য। তাকে আমিও প্রথম দেখে অবাক হয়েছিলাম।