ভিক্ষুক পুর্নবাসনের জন্য সরকারি ভাবে বগুড়ার আদমদীঘির জনৈকা ভিক্ষুক পাতাশি বালাকে প্রদানকৃত চার ছাগলের মধ্যে দুইটি ছাগল জোড় করে নিয়ে এক আওয়ামীলীগ নেতা তার সমর্থিত ব্যক্তি নয়ন নামের একজনকে দেয়ার খবরে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানার পর গত ৯ জুলাই আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ সরজমিনে পৌঁছে ওই দুইটি ছাগল উদ্ধার করে পুনরায় ভিক্ষুক পাতাশি বালাকে হস্তান্তর করেন। ঘটনাটি ঘটেছে আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের বিনাহালী গ্রামে। জানা যায়, সরকার সারাদেশে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহন করেন। সেই কর্মসুচী মোতাবেক আদমদীঘি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত প্রকার ভেদে ভিক্ষুকদের নামে ছাগল পালন, টিনের ঢোকের দোকান ঘর তৈরী করে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে কর্ম করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। গত ২ জুলাই থেকে অত্র উপজেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ২২ জন ভিক্ষুককে ৭৬টি ছাগল, ৫জনকে ৫টি টিনের দোকান ঘর প্রদান করেন। এদিকে উপজেলার বিনাহালী গ্রামে ভিক্ষুক পাতাশি বালাকে ৪টি ছাগল প্রদান করা হলে ওই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম বাবু পতাশি বালার নিকট থেকে দুইটি ছাগল জোড় করে কেড়ে নিয়ে পাশের বাড়ির তার সমর্থিত ব্যক্তি নয়নকে প্রদান করেন। বিষয়টি তোলপাড়ের সৃষ্টি হলে গত ৯ জুলাই উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ সরজমিনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পেয়ে নয়নের নিকট থেকে দুইটি ছাগল ফেরত নিয়ে পাতাশি বালার নিকট পুনরায় হস্তান্তর করেন। আওয়ামীলীগ নেতা সাদেকুল ইসলাম বাবু‘র নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, সাদেকুল ইসলাম বাবু ভুল স্বীকার করায় তাকে এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।