দেশে মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ ঘোষনা করলেও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা তা উপেক্ষা করে করোনার মধ্যে কোন প্রকার সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই নয়া কৌশলে তাদের বাসায় প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে উপজেলায় করোনা সংক্রমনে মারাত্মক ঝুঁকির আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকলেও সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, চাঁপাপুর কুন্দগ্রাম, নসরতপুর, ছাতিয়ানগ্রাম, মুরইলসহ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শ্রেনির অর্থলোভি শিক্ষক এই মহামারি করোনা সংক্রমনের মধ্যেই কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় না মেনে তাদের বাসায় শিক্ষার্থিদের জড়ো করে নয়া কৌশলে অবাধে প্রাইভেট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থিদের স্কুল ব্যাগ ও পোষাক ব্যবহার না করে চটের ব্যাগে পাঠ্যবই নিয়ে শিক্ষকদের বাসায় প্রবেশ করে মুল দরজা বন্ধ করে গাদাগাদি করে বসিয়ে প্রাইভেট পড়ান। আদমদীঘি সুরমা ক্লিনিকের পিছনে আইপিজে উচ্চবিদ্যালয়ের অংশ শিক্ষক নুর ইসলাম মিঠুর বাসায় গত সোমবার সকালে গিয়ে দেখাগেছে প্রায় ১৫জন ছেলে মেয়ে শিক্ষার্থিদের সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই ব্রেঞ্চে গাদাগাদি ভাবে বসিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন। শিক্ষক ন্রু ইসলাম মিঠু জানায়, শিক্ষার্থিদের অনুরোধে বাসায় প্রাইভেটের ব্যবস্থা করি। আদমদীঘি আইপিজে পাইলট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজু আরা বেগম জানান, কোন শিক্ষক সরকারি নির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট পড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।