বগুড়া আদমদীঘিতে আলোচিত নিপরাদ কিশোর সিহাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিপলু ও তার বাবাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়ার আদমদীঘি থানায় নেয়া হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যানুযী সেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি, রক্ত মাখা গেঞ্জি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল কদমা বেইলি ব্রিজের সামনে থেকে এসব উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে কিশোর সিহাব হত্যার প্রধান আসামি শিপলু চেহারার পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, কিশোর শিহাব হোসেন হত্যা মামলার মূল আসামি ইলিয়াছ হোসেন শিপলু মাথা ন্যাড়া ও চেহারা পরিবর্তন করে তার বাবা এখলাছ উদ্দিনের সাথে ময়মনসিংহে আত্মগোপন করেন। হত্যার ছয়দিন পর শনিবার দুপুরে আদমদীঘি থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে তারা ময়মনসিংহ অবস্থান করছে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান আরো নিশ্চিত হন পুলিশ। এরপর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাজারে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে শিপলু মাথা ন্যাড়া ও দাড়ি কেটে চেহারার অমূল পরিবর্তন করেন।
উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন বিকেলে দমদমা উত্তর পাড়ার সোহাগের ছেলে সিহাবকে ভেবে গ্রামেরই পূর্ব পাড়ার সবজি বিক্রেতা হরুন অর রশিদের ছেলে সিহাবের গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এমামলার প্রধান আসামি করজবাড়ী গ্রামের এখলাছের ছেলে শিবলু ও অপর আসামি ছিল তার বাবা এখলাছ।