বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে রাধাকান্ত কোরবানী পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ইজারদারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গতবারের চেয়ে এবার হাটের পরিধিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানী পশুর হাটের প্রথম দিকে ক্রেতা-বিক্রেতা তেমন না থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকে কোরবানীর হাট জমে উঠেছে।
জানা যায়, হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে হাটের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধ শতাধিক হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হয়েছে, এ ছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে ২ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার মাইকিং করা হয়। অপরদিকে জাল টাকা পরিক্ষার জন্য মেশিন বসানোসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ক্যাম্প ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলতে হাটের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে দেখা যায়, শত শত গরু আমদানি হয়েছে। স্থানীয় ক্রেতাদের চেয়ে পাইকারদের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। হাটে কোরবানী কিনতে আসা আফজাল হোসেন, রুহুল কুদ্দুস, ছোট আখিড়ার মুুকুল, চকবড়িয়ার মিঠু, রফিকুল, হাপিনিয়ার মান্নান, আত্রাইয়ের মনাসহ অন্য ক্রেতারা বলেন, এবারে কোরবানি পশুর দাম তুলনামূলক গতবারের চেয়ে কম। আরেকজন ক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, গরু কেনা সহজ হলেও পাইকারদের দাপুটে সাধারণ ক্রেতারা খাসি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বিক্রেতারাও দাম হাঁকছে বেশি।
প্রতি শনি ও মঙ্গল বার করে সান্তাহার পৌরসভার রাধাকান্ত হাট বসে। হাটে বিপুল সংখ্যক পশু আমদানি হওয়ায় রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও পাইকার এসে পছন্দ মত গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যান। বিশেষ করে সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে বড় বড় ষাঁড় আমদানি হয় বলে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের ভিড় জমে এই হাটে। তারা হাট থেকে গরু কিনে ট্রাক বোঝায় করে নিয়ে যান রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারদের আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছে সান্তাহারের রাধাকান্ত পশুর হাট।