আমরা সকলে জানি যে, শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল হলেও উত্তরাঞ্চলে তরকারি হিসেবে অনেক পরিচিত। শুধু গ্রাম-গঞ্জেই নয়, শহরেও রয়েছে এর বেশ কদর। আর এ কারণে বর্ষাকালে শাপলা বিক্রি করে সংসার চলে অনেক কর্মহীনদের। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম। দুই সন্তানের জনক দিনমজুর শহিদুল এখন শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সকালে তিনি জানান, বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের বাঁকি সময় অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। দিন শেষে যা মজুরি পায় তা দিয়ে স্ত্রী, সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবার ভালোই চলে। তবে বর্ষা এলে নিচু এলাকার জমিতে পানি জমে থাকায় কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন হ্রাস পায়। ফলে তেমন একটা কৃষি কাজ না থাকায় এ মৌসুমে অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েন তিনি। বেকারত্ব দূর করতে ও সংসার চালাতে হয়ে ওঠেন শাপলা বিক্রিতা। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত রক্তদহ বিল এলাকার ছাতনী-ঢেকড়া, সান্তাহার সাইলোর সামনে ও রেল লাইনের পাশের খাল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে স্টেশন রোডে এনে আঁটি বাঁধেন। এরপর সান্তাহার পৌর শহরের কয়েকটি এলাকায় পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিকেল পর্যন্ত এসব শাপলা বিক্রি করেন। এতে গড়ে দৈনিক তাঁর আয় হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। যা দিয়ে চলে যাচ্ছে সংসার খরচ। শুধু শহিদুলই নয় এরকম অনেকেই শাপলা বেচে সংসার চালাচ্ছেন। শাপলা ক্রেতা সান্তাহার নতুন বাজার এলাকার সজীব জানান, শাপলার লতি তরকারি হিসেবে সুস্বাদু এবং দামেও কম। বর্তমানে সবজির বাজার চড়া। তাই শখ করেই শাপলার লতি কিনেছেন। তাছাড়া শাপলার ফুল শিশুদের কাছেও খুব প্রিয়। তিনি শহিদুলের কাছ থেকে ৫ টাকায় কিনেছে