মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ।
অভিযানে গিয়ে তারা ফ্যাক্টরির বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এ সময় দেখতে পান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আইসক্রিম যেই তাপমাত্রায় রাখার কথা ইগলুর ফ্রিজের তাপমাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট ফ্যাক্টরির ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে প্যাকেট ভরা গলিত আইসক্রিম পড়ে থাকতে দেখেন।
অভিযানে ইগলুর যেসব ত্রুটি বিচ্যুতি পাওয়া গেছে সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চান ম্যাজিস্ট্রেট। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুসারে তাদের ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আইসক্রিম তৈরির মেশিনের দুইটি দিক থাকে। একদিক থেকে কাঠি ঢুকানো হয়, আরেক দিক থেকে আইসক্রিম তৈরি হয়ে বাইরে বের হয় (এক্সিট পয়েন্ট)। যেখানে আইসক্রিমগুলো বের হয় সেই জায়গাটি অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। এ কারণে নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩৩ ধারায় তাদের ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি পণ্য মোড়কীকরণ ও লেবেলিং রেগুলেশনের শর্ত পুরোপুরি না মানায় আইনের ৩২ (ক) ধারায় আরও ২ লাখ টাকায় জরিমানা করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য আইনের ৩২ (ক) ধারায় উল্লেখ আছে, পণ্য সরকার নির্ধারিত মোড়কীকরণ, চিহ্নিতকরণ ও লেবেল সংযোজন ছাড়া বিতরণ বা বিক্রি করা যাবে না।
এছাড়া ৩৩ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিক্রয় করা যাবে না।সূত্রে: jagonews24