প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় কর্মহীন, অসহায়, শ্রমজীবী মানুষ যারা চক্ষু লজ্জায় লোকালয়ে খাদ্য সামগ্রী নিতে আসতে পারবে না, ফোন করলেই তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে গজারিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করণীয় নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত অচিহ্নিত ও অদৃশ্য শক্তি করোনার বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। আমরা নিজেরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক না হই তাহলে আমাদের সর্বনাশ আমরাই ডেকে আনবো। কারণ এই করোনা ভাইরাস যদি কাউকে স্পর্শ করে তাহলে শুধু ওই ব্যক্তিই মারা যাবে না পুরো ওই গ্রাম এমনকি ওই অঞ্চলটি মৃত্যুপুরিতে পরিণত হবে। তাই আমরা ঘরের বাহিরে বের না হয়ে একটু কষ্ট হলেও তা মেনে নিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যুদ্ধ ঘোষনা করি। এই সংকট চলাকালীন সময়ে চক্ষু লজ্জায় যারা খাদ্য সামগ্রী নিতে আসতে পারবে না। তারা ফোন করলেই বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবো।
তিনি আরো বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভিজিএফ, ভিজিডি, ১০টাকা কেজি চাল ও বিশেষ খাদ্য সহায়তা দিতে যে ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন হলে কোনো মানুষই অভূক্ত থাকবে না। নির্বাচনের সময় যে ভাবে আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছি ঠিক সেই ভাবেই আমার নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কেউ যদি অনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অমানবিক কাজে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে প্রকৃতভাবে ক্ষুধার্থ মানুষের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায় সে জন্য গজারিয়া বাসির সহযোগীতা কামনা করছি। আপনারা করোনা মোকাবেলায় ঘরে বসে থাকুন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন প্রধান প্রমূখ।