ফুটবলে অনুকরণীয় দেশ ভিয়েতনাম

খেলাধুলা

কঅর্থনীতির দিক থেকে এশিয়ায় যতটা পিছিয়ে, ঘরোয়া ফুটবলে যেন ঠিক ততটাই এগিয়ে ভিয়েতনাম। একসাথে তিনটি পেশাদার লিগ চলে দেশটিতে। অথচ ১৯৮০ সালের আগে কোন ঘরোয়া ফুটবলীয় কাঠামোই ছিলোনা ভিয়েতনামের।

ক্লাবগুলো অপেক্ষাকৃত নতুন, তবুও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর এএফসি কাপে দিনে দিনে বাড়ছে তাদের দাপট। এশিয়ার দেশগুলোর লিগ আর তাদের সমর্থকদের নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজনের একাদশ-তম পর্বে থাকছে, ভিয়েতনামের ক্লাব ফুটবলের আদ্যোপান্ত।

হ্যানয়। যে শহর কখনই ঘুমায় না। শুধু ব্যস্ততায় নয় বরং ফুটবলেও। ভিয়েতনামের রাজধানী অথচ ফুটবলের সঙ্গে যার যোগসূত্র এ শতাব্দীতেই। ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হ্যানয় এফসির এরপর দিনে দিনে ছড়িয়েছে ঐজ্বল্যৈ।

হ্যানয় এফসির মতো ভিয়েতনামিজদের কাছে ফুটবলের জনপ্রিয়তায় বেড়েছে দুই দশকও পেরোয়নি। ১৯৮০তে শুরু ভি লিগ ওয়ান, পেশাদার কাঠামো এসেছে এরও দুই যুগ পর।

বর্তমানে ভি লিগ ওয়ানে অংশ নেয় ১৪টা ক্লাব। যাদের প্রত্যেকেরই আছে বিশাল সব ফ্যান-বেজ, আছে নিজস্ব স্টেডিয়াম। হ্যানয় এফসি ছাড়াও ৫ বার লিগ টাইটেল জিতেছে সিএলবি ভিয়টেল।

হো চি মিন সিটি আর হ্যানয় এফসির লিগের বড় রাইভাল। যে ম্যাচকে কেন্দ্রকরে ছড়িয়ে যায় উৎসবের রং।

ভিয়েতনামের তৃণমূলের ফুটবলীয় কাঠামো অত্যন্ত শক্তিশালী। কোন দলকে লিগ ওয়ানে অংশ নিতে হলে প্রথমে হতে হবে স্টেইট চ্যাম্পিয়ন। এরপর তৃতীয় বিভাগ, ২য় বিভাগের দুই স্টেজ, ভি লিগ টু এবং সবশেষে লিগ ওয়ান। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগে ৬ বছর।

নেই ম্যাচ পাতানোর কালো থাবা, ফলে বেড়েছে আস্থা, বেড়েছে দর্শক। গড়ে প্রতিটি ম্যাচে যা ছাড়ায় সাড়ে ৭ হাজার। লিগে মোট ম্যাচ হয় ১৮২টি, গোল গড় প্রায় তিন।

বিদেশি ফুটবলারদের নিতে নিরুৎসাহিত করা হয় ক্লাবগুলোকে৷ এক ম্যাচে মাঠে নামতে পারে মোটে ২জন, যে সংখ্যাটা পূর্বে ছিলো ৪।

পরিকল্পনার ফুটবলের পুরস্কারও পেয়েছে ভিয়েতনামের জাতীয় দল। বিশ্ব ফুটবলে ২০০৬ সালে যাদের র‍্যাংকিং ছিলও ১৭২ তারা এখন ৯৪ তে। তাইতো দেশটির ফুটবলীয় কাঠামোকে চাইতে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতেই পারে বাংলাদেশসহ পিছিয়ে পরা দেশগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *