বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে উচ্চ আদালতের এক নির্দেশের পর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বৃহস্পতিবার সরকারকে এক নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। যথেচ্ছ এন্টিবায়োটিক সেবনের ফলে মানুষের মধ্যে ঔষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে মারা যাওয়া রোগিদের ৮০ শতাংশের মৃত্যুর সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধি সুপারবাগের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ক’দিন আগেই প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো ব্রিটিশ এক দৈনিক। বিবিসি
ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাইকোর্টের এই যুগোপযোগি সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্ত¡তা প্রকাশ করে বলছি এটা একটা গ্লোবাল সমস্যা। একই সমস্যা বাংলাদেশের মানুষের। তাই যতো দ্রুত সম্ভব এর সমাধান করবো। তবে ২০১৬ সালে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছিলাম যে প্রেশক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়েটিক বিক্রি হবে না। তবে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তিনি আরো বলেন, ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়ে কোর্ট যে রায় দিয়েছে শুক্র-শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় এখনও সেটা হাতে পাইনি তবে হাতে পাওয়া মাত্র আমরা একটা পরিপত্র জারি করবো। জেলা পর্যায়ে যতো অফিসার আছে, যারা ফিজিশিয়ানদের কন্ট্রোল করে, যতো ফার্মাসি আছে তাদেরসহ সারা বাংলাদেশে এই বিষয়ক মেইল পাঠিয়ে দেবো। তারপরেও যদি প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেউ এন্টিবায়োটিক বিক্রি করে তাহলে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে।