সারাদেশে চলমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার প্যানেল প্রত্যাশীরা। তারা জানিয়েছেন ২০১৮ সালে দীর্ঘ ছয় বছরের একমাত্র সার্কুলেশনে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখেরও বেশী। আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার। এর মধ্যে চুরান্তভাবে মনোনীত করা হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে তিতাস উপজেলার রয়েছে ১২৭জন। এদের মধ্যে ৪২ জনকে চুরান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে। বাকী ৮৫ জন চুরান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি। চুরান্ত মনোনীতদের মধ্যে অনেকেই যোগদান করেননি। তিতাস উপজেলায় ৪২ জন শিক্ষককে পদায়ন করার পরও ১৭ টি প্রধান শিক্ষক পদ ও ৮৯টি সহকারী শিক্ষক পদ শূণ্য রয়েছে।
এছাড়ও মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় তিতাস উপজেলাও শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে। তাই করোনা পরবর্তী এ সংকট কাটিয়ে উঠতে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন তিতাসের প্যানেল প্রত্যাশীরা। কুমিল্লা জেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. সফিউল্লাহ ও তিতাস উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক প্যানেল প্রত্যাশী ২০১৮ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখেতে এবং প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী প্রতি ঘরে ঘরে একজন করে সরকারী চাকরী প্রদান ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা প্রণোদনা হিসেবে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় প্যানেল প্রত্যাশীরা দাবি জানিয়ে আসছে, তাই আমরা ও তিতাস উপজেলা থেকে সকল প্রত্যাশীরা প্যানেল নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। সফিউল্লাহ ও রুহুল আমিন আরো জানিয়েছেন আমাদের হোমনা-তিতাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূণ্যপদ পূরনের ভিত্তিতে প্যানেল নিয়ম প্রবর্তন করে নিয়োগ দানের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন কুমিল্লা-২(হোমনা-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী।