লিটন সরকার বাদল,
দাউদকান্দি পৌরসভার সদর ৫ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিল মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন সুমন খন্দকারের সহযোগিতায় দীর্ঘ ২ মাস পর প্রতিবন্ধী ছেলে রিদোয়ানকে ফিরে পেলেন মা।
রিদোয়ানের পরিবার জানায়, প্রায় ০২ মাস আগে রিদোয়ান রাজধানীর ঢাকার খিলক্ষেত এর পাশ্ববর্তী বেরুয়া নামক গ্রাম থেকে হারিয়ে যায়।
তার পরিবার অনেক খোজাখুজি করেও তাকে না পেয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিরে পেতে হারানো বিঞ্জপ্তি দেয়।
বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেক প্রতারক রিদোয়ানকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে, মিথ্যা ও প্রতারনা করে বিকাশে অনেক টাকাও দিয়েছে প্রতারকদের। কিন্তু ফিরে পাননি বুকের ধন মানিক রিদোয়ানকে।
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে রিদোয়ানের এক আত্মীয়র আইডি থেকে পোস্ট করা হারানো বিজ্ঞপ্তি দেখে দাউদকান্দি পৌরসভার সদর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমনের সহকারি মধু সরকারের মাধ্যমে দাউদকান্দি থেকে
প্রতিবন্ধী রিদোয়ানকে উদ্ধার করে তার হেফাজতে রেখে পরিবারকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন রিদোয়ানের পরিবার । এরপর রিদোয়ানের বাবা,মা, বোন,ভগ্নিপতি, জেঠাসহ আরো আত্মীয় স্বজনদের কাছে রিদোয়ানকে বুঝিয়ে দেন পৌর কাউন্সিলর।
এ সময় এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়, হারিয়ে যাওয়া বুকের মানিক কে খুঁজে পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনরা কাউন্সিলকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
এব্যাপারে কাউন্সিলর মোঃ বিল্লাল হোসেন খন্দকার সুমন বলেন,একজন পথ হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ছেলে কে তার বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন এর কাছে ফিরিয়ে দিতে পারায় মনে অনেক শান্তি অনুভব করছি। সকালে যখন নাস্তা করছিলাম আমি আর ছোট ভাই মধু, তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেটির ছবি সহ ফিরে পাওয়ার খবরটি দেখতে পাই।
ছেলেটির ছবি দেখে ছোট ভাই মধু আমাকে বলে ভাই ছেলেটিকে আমাদের এলাকায় দেখেছি কয়েকদিন আগে। তখনই তাৎক্ষনিক মধু ছেলেটির পরিবার এর দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয় হারিয়ে যাওয়া ছেলেটির বিষয়ে।
এরপর আমরা বেরিয়ে পরি ছেলেটিকে খুজে বের করতে প্রায় ২ ঘন্টা ধরে অনেক খোজাখুজির পর রিদোয়ান কে খুজে পাই এবং ওর পরিবার সাথে যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলে নিশ্চিত করি। ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ছোট ভাই মধু সরকার কে যার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে, মধু না বললে হয়তো এই ছেলেটি কোথায় কোথায় ঘুরতে আল্লাহই জানে, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ছেলেকে তার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।