মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি বিশাল আকারের গ্রহাণু। এই গ্রহাণুর আকার মিশরের গিজার গ্রেট পিরামিডের আকারের চেয়ে দ্বিগুণ বড়।
এই গ্রহাণু আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটার দিকে পৃথিবীর ঘা ঘেঁষে চলে যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির উচ্চতা প্রায় ৮৮৬ ফুট। এই গ্রহাণুর নাম ৪৬৫৮২১ (২০১০এফআর)। ১০ বছর আগে এটি প্রথম নজরে এসেছিল নাসার। পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধুমকেতূদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসেবে চিহ্নিত করে নাসা। এই গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে। এটি সূর্য থেকে ১৯.৪৫ কোটি কিমি দূরে রয়েছে।
‘সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ’এর গবেষকরা, এই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনও সম্ভাবনা আছে কি না সে প্রসঙ্গে সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘ভয়ের কোনও কারণ নেই। পৃথিবীর ধার ঘেঁষে এই গ্রহাণুটি চলে যাবে। এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের কোনরকম সম্ভাবনা নেই।’
গবেষকরা আরও বলেন, ‘এই ধরনের গ্রহাণুর সঙ্গে সাধারণত পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা কমই থাকে। তবে কখনও কখনও অন্য গ্রহের সঙ্গে মহাকর্ষীয় টানের কারণে তারা আচমকাই অনেকটা কাছে চলে আসে। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে গ্রহাণুর মতো ছোট মহাজাগতিক বস্তু সূর্যের আলো শুষে উত্তপ্ত হয়ে তাপ নির্গত করে। এর ফলেও তাদের গতিবিধিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। একে ‘ইয়ার্কোভস্কি এফেক্ট’ বলে।’
নাসা জানিয়েছে যে, বহুবার এই ধরনের আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা দাবি করেন অতীতে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াই ছিল অন্যতম কারণ। সাম্প্রতিক ও অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস