চাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট এর স্লিপসহ ১৬ দালালকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী দালাল চক্রের সদস্যকে পাসপোর্ট করতে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরেও যথাসময়ে পাসপোর্ট পায়নি মর্মে আমাদের নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন।
এসকল অভিযোগ সমূহের সত্যতা যাচাই পূর্বক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং দালাল চক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল দুপুরে চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন তর্পচন্ডী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগে গ্রেপ্তাররা হলেন- দালালচক্রের হোতা মো. ইয়াসিন (২২), মো. মামুন (৩৭), মুনকার আহমেদ রাজ (২২), মো. তানভীর (২৩), মোবারক গাজী (৪০), মো. রবিউল আলম (২৮), মো. শরীফ হোসেন (৩৭), মো. শাওন (২২), নুরুল ইসলাম মজুমদার (২৬), মো. অমিত হাসান (২২), মো. তোফাজ্জল দেওয়ান (৫৫), মো. সেলিম (৪০), রানা (৩৭), সাজ্জাদ (১৯), মো. তামিম হোসেন (২৩) ও আরমান হোসেন (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৮৩ পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ, ৮টি মোবাইল ফোন, নগদ ৪৫ হাজার ২০০ এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয়। তিনি জানান, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশের প্রচলিত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে পাসপোর্ট প্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার। তবে অধিকাংশ সময়ে অসংখ্য ভুক্তভোগী দালালচক্রের সদস্যকে পাসপোর্ট করতে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার পরও পাসপোর্ট পায়নি মর্মে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দালালচক্রের ১৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তাররা পাসপোর্ট প্রস্তুত করে দেবে বলে নির্ধারিত টাকার চাইতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার দালালচক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট দালাল নির্মূলে র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।