মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় চাউলাঘাটা গ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে বিদ্যা মাকে মারধর করলে পাশের বাড়িতে থেকে বিদ্ধার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে ছুটে আসে উদ্ধার করার জন্য এবং উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এর দুইদিন পর দেখা যায় বিদ্ধার আরেক ছেলে মিজান বাদী হয়ে উদ্ধারকারীদের নামেই অভিযোগ করে এবং সাক্ষী হয় বিদ্ধার ছেলে মেয়ে তিনজন যারা কেউ ছিলনা এলাকায়। পুলিশ অভিযোগের উপর ভিত্তি করে উদ্ধারকারী বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। একদিন পর জামিনে আসে বাবা ছেলে জামিনে আসার পর আবার ওদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে একটি অনলাইন জিডি করা হয় এবং সাক্ষী হয় অন্য এলাকার লোক। সরজমিনে গেলে দেখা যায় ঘটনার মোড় অন্যদিকে, উদ্ধারকারী তবদল হোসেন বলেন আহত বিদ্ধা আমার বোন আমার সাথে আগে থেকে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল তাই আমার সাথে আমার বোনের সম্পর্ক ভালো ছিল না এজন্যে আমি আমার বোনের বাড়িতে যাই না, ঘটনার দিন আমি ও আমার ছেলে খেতে বসেছি এমন সময় আমার বোনের ঘরে চিৎকার এর আওয়াজ শুনে আমার মা। আমি ও আমার ছেলেকে ডেকে বলেন বাবা আমার মেয়েকে মনে হয় তার পাগল ছেলে মারতেছে তোমরা একটু যাও। আমি ও আমার ছেলে ঘটনাস্থলে যাই এবং আমার বোনের উপর তার ছেলেকে দেখতে পাই আমার ছেলে গিয়ে পাগল টার হাত থেকে আমার তার ফুফুকে উদ্ধার করতে ওর সাথে প্রায় দস্তা দস্তি হয় একপর্যায়ে পাগল মাসুমকে নিয়ে পড়ে যায় তখন মাসুমের মাথায় আঘাত পায়। পরে আমরা আমার বোন জায়েদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। উদ্ধারকারী এলাহি বলেন আমার ফুফাতো ভাই মিজান একটু দুষ্ট প্রকৃতির সে এর আগেও আমাদের জামিনদার রেখে তিন লক্ষ টাকা এক জায়গা থেকে নিয়েছিল পরে ওই টাকা সে দেয় নাই আমাদের দিতে হয়। এই ঘটনা নতুন করে নয় এর আগেও মিজান আমার ফুফুকে মারে এবং ফুফু এই মিজানের নামেই মামলা করেছিল। এবং আমার ফুফাতো ভাই মানসিক প্রতিবন্ধী মাসুম এলাকার পাঁচ ছয় জনকে কামড়েছে এবং জরিমানাও দিয়েছে আমার ফুফু। এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার ভয় দেখিয়ে আমার বাবার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ও দুই বিঘা জমি দাবি করেছিল মিজান, আমার বাবা দিতে নারাজ হলে আমাদের নামে মামলা দিয়ে দেয়। আহত জায়দা ও উদ্ধারকারী তবদলের মায়ের সাথে কথা বললে জানান আমি আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আমার ছেলে ও নাতিকে যেতে বলি, এজন্যেই আজ এদের উপর এত জুলুম। বাদী ও সাক্ষী সাংবাদিক পরিচয় পেলেই কথা বলতে নারাজ।