সদ্যঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পদ না পেয়ে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী জারিন দিয়া। সে সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সংগঠনটির বিগত কমিটির এই সদস্য। গত সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন পদবঞ্চিতরা। তাদের দাবি, এটি প্রহসন, হাস্যকর সিদ্ধান্ত। এখানে ‘মূল কালপ্রিট’দের কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।
জারিন দিয়ার আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে জারিন দিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পদবঞ্চিত হয়েও উল্টো বহিষ্কার হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দিয়া। এ ছাড়া ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে উদ্দেশ্য করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও দিয়েছিলেন তিনি।
বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের গত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, এটি প্রহসনের সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল সেটিও লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। তদন্ত কমিটির কেউ আমাদের সঙ্গে (যারা হামলার শিকার হয়েছি) কোনো যোগাযোগ করেনি। এটি মনগড়া সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার সিদ্ধান্ত।
এর আগে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় সংগঠনটির পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জিয়া হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান সাদিককে। আর সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে- বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদুল কবির, কাজী সিয়াম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য জারিন দিয়াকে।
সূত্রে: ইত্তেফাক