নৌকাডুবির ৭২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো মেলেনি নিখোঁজ দুই স্কুলছাত্রী। বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় হানারাং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শান্তি রানি ত্রিপুরা (১০) এবং থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফুলবানী ত্রীপুরা নামে দুইজন নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাওয়ার পথে প্রবল বৃষ্টি ও স্রোতের কারণে উপজেলার পদ্মঝিরি, চিংড়ি ঝিরি এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হয় দুই স্কুলছাত্রী। নিখোঁজ স্কুলছাত্রী ফুলবানী ত্রীপুরা থানচি উপজেলার তিন্দু ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের হরিশ চন্দ্র পাড়ার বাসিন্দা নিলাপ্রু ত্রীপুরার মেয়ে ও আরেকজন শান্তি রানি ত্রীপুরা একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিজন ত্রিপুরার মেয়ে।
এই দুই পরিবারের নিকট আত্মীয় প্রশান্ত ত্রীপুরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে সারাদিন তাদের খুঁজেছি, মনে হচ্ছে তারা বেঁচে নেই। তাদের পরিবারের সদস্যরা খুবই কষ্টে আছে, প্রশাসনের কেউ আজকে খুঁজতে না গেলে, আমরাই আজ তাদের খুজতে যাব।
আরো পড়ুন : মেঘনায় চোর সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেফতার
এদিকে নিখোঁজের পর থেকে থানচি ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ দুই স্কুল ছাত্রীর কোনো খোঁজ মেলেনি। এ বিষয়ে তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো স্থানে তাদের মরদেহ ভেসে উঠেছে বলে খবর পাইনি। আজকেও আবার উদ্ধার কাজে যাব।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে এ বিষয়ে থানচি ফায়ার সার্ভিস অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরুণ জৌতি বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজের পর হতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি,তবে নিখোঁজের স্থানে তাদের পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না,সাঙ্গু নদীর স্রোত বেশি তাই তারা অন্য কোথাও ভেসে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাদের খুঁজতে আজকেও আমরা বের হব।
এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাঙ্গু নদীতে প্রবল স্রোত। আর স্রোতের প্রবলতা এতো বেশি যে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসে প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল না থাকাতে উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে তাদের উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।