ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিজানুর রহমান কর্তৃক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা মোজ্জামেল হোসেন রাসেল’কে থানায় ডেকে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেনবাগ পৌর মেয়র ও আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আবু জাফর টিপু ।বুধবার বিকেলে সেনবাগ পৌরসভার কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর অাহম্মেদ চৌধুরী।এতে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম সুলতানা,সেনবাগ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুজ্জামান চৌধুরী সহ আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ওসি মিজানের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে,১৯ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ লীগের নেতা মোজ্জামেল হোসেন রাসেলকে থানা হাজতে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন সেনবাগ থানার ওসি।
বর্তমানে রাসেল ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নোয়াখালী সেনবাগ পৌরসভার বাবুপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নান কালা মিয়ার ছোট ছেলে রাসেল, তার বড় ভাই এজিএস আবদুল মতিন উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, আরেক ভাই আবুল কালাম আজাদ আবু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর এবং আরেক ভাই জহিরুল আলম জহির, সেনবাগ সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক জিএস। এছাড়াও তাদের পরিবার পরিজনের রক্ত, অর্থ, শ্রম,জেল-জুলুম রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস সেনবাগের সর্বস্তরের জনগণ অবগত।
গত তিনদিন যাবত রাসেলকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরিবার অনেক খোজাখুজির পর জানতে পারে সে ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত। তার অবস্থা আশংকা জনক, তার বড় ভাইয়ের ভাষ্যমতে রাসেলকে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার দিন দুপুরে থানায় আসতে বলেন এবং একা আসতে বলেন। (মোবাইল ফোন নাম্বার আছে) সেখানে যাওয়ার পর ওসির রুমে দরজা বন্ধ করে কোন কিছু বুঝার পুর্বেই “রাসেল’কে রোল দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এবং ওসি মোয়াজ্জেম অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে একই সময় মোয়াজ্জেম আওয়ামীলীগ, যুবলীগ নিয়েও গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে ওসি গুলি করবে বলেও রাসেল’কে হুশিয়ারি দেয়। এবং মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার সময় ওসি শর্ত দেয় এই ঘটনা তুই যদি কাউকে বলিস তোকে ক্রস ফায়ার দেওয়া হবে।
তবুও রাসেল ঢাকা যাওয়ার আগে এসপি অফিসে গিয়ে এসপি ও এএসপিকে বিষয়টি অবগত করে এখনো পযন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
আহত রাসেলের মা জানান ,পুলিশ আমার ছেলেকে কি কারনে হত্যার চেষ্টা করলো আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাবী ।
বিএনপি জামায়াতের সময় আমার ছেলেরা ঘরে ঘুমাতে পরে নাই পুলিশের কারনে,
আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায়,কি কারণে আমার ছেলেকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেন আমি জানতে চাই।
আমার ছেলে কি চোর-ডাকাত, না কি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি, না কি সন্ত্রাসী আমাকে জানাতে হবে।