ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগে এই প্রথম ক্রস ফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে বৃহত্তর নোয়াখালীর ভয়ংকর ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন ইউছুপের অবসান ঘটেছে। সোমবার রাত পৌনে ৩ টার সময় আন্তঃ জেলা ডাকাত সর্দার ইউছুপ (৪৪) পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।এসময় পুলিশের এসআই জসিম, এএসআই লোকেন কনস্টেবল আবদুর রহমান সহ ৩ জন আহত হয়েছে।ডাকাতদল ও পুলিশের মধ্যে অন্তত ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো: আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন ইউছুপ (৪৪) কে বেগমগঞ্জের জমিদারহাট বাজার থেকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ তাকে নিয়ে বীরকোট গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে রাত পৌনে ৩ টার দিকে সেনবাগের বীরকোটস্হ অবসর প্রাপ্ত সচিব শৈলোন্য কুমার দত্ত অধিকারীর বাড়ীর সামনে আগেই ওৎপেতে থাকা ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়লে পুলিশের দল ও পাল্টা পাল্টি গুলি ছোঁড়ে। প্রায় ৭-৮ মিনিটে ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তারপর ডাকাত সর্দার ইউছুপ পালিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ডাকাত দের গুলিতে ইউছুপ সহ ৩ পুলিশ সদস্য গুরুত্বরভাবে আহত হয়। এ সময় অন্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। আহত ডাকাত সর্দার ও পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউছুপকে মৃত ঘোষনা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৩ রাউন্ড তাজা গুলি,৭ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩ টি রামদা ও ১ টি টসলাইট উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি (তদন্ত) মো: আলমগীর হোসেন ।
নিহত আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ইউছুপের বিরুদ্ধে ৭ টি ডাকাতি, ২ টি চুরি,৩ টি ডাকাতি প্রস্তুতি সহ সর্বমোট ১২ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ফেনী ও কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ১৯ জুন সেনবাগ থানা পুলিশ নিহত ইউছুপ সহ ৯ ডাকাততে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে।
ডাকাত সর্দার ইউছুপ সেনবাগের সীমান্তবর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের অলি উল্যার পুত্র।
সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বর্তমানে তার লাশ নোয়াখালী মর্গে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, তার নেতৃত্বে সিলেট,বিবাড়ীয়া, চট্রগ্রাম,বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন জনপদ থেকে প্রশিক্ষিত ডাকাত দল ভাড়ায় এনে ডাকাতি সহ নানা অপরাধ করতো।
ডাকাত সর্দার ইউছুপ ক্রসফায়ারে নিহত হবার ঘটনায় ভুক্তভোগী সহ অনেকেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে গনমাধ্যমে।
অনেকের মতে, তার অবসানের মাধ্যমে এতদঅঞ্চলে ডাকাতি সহ নানা অপরাধ কমে আসবে বলে আশাবাদী।