এফ এম শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো স্থানীয় উদ্যোগে বিনা খরচে থাকা-খাওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নোয়াখালীতে আসতে শুরু করেছেন, প্রায় ৭০হাজার পরীক্ষার্থীসহ দেড় লক্ষ লোকের সমাগম হবে জেলা শহরে। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদেরকে নোয়াখালী পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ভবনসহ বিভিন্নস্থানে পৌঁছে দেন। সেখানে বিনা খরচে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৩০টি বিষয়ের ১ হাজার ২৮৫ আসনের বিপরীতে ৬৮ হাজার ৭৬০টি আবেদন জমা পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জেলা শহর মাইজদী এবং বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৩০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপশি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিবাকসহ নোয়াখালীতে দেড় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। অতীতের মতো এবারো এ বিপুল সংখ্যক মানুষের বিনা খরচায় থাকা-খাওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা লক্ষ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, নোয়াখালী পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন যে যার অবস্থান থেকে উদ্যোগ নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্নস্থানে খোলা হয়েছে তথ্য কেন্দ্র। মোড়ে মোড়ে বিলবোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে প্রচার মাইকে শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় আহ্বান জানানো হচ্ছে। অপরিচিত জায়গায় মানুষের এরকম আন্তরিকতা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। একইভাবে এমপি একরামুল করিম চৌধুরির পক্ষ থেকে ও যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী তিনদিন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে সাংবাদিকদেরকে জানান নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্লা খান।
শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ও প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম শামছুদ্দিন জেহান।