ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলায় চলতি ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদকের জন্য মনোনয়নে নীতিমালা লঙ্গনের অভিযোগ উঠেছে। শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে মুহাম্মদ মহিউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মনোনয়নের যোগ্য নয়।
কারন হিসেবে জানা গেছে, এ পদকের জন্য নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে যে, যেই বছর পদক এর জন্য মনোনীত করা হবে মনোনীত ব্যক্তিকে তার চাকুরির বয়স পূর্ববর্তী বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ বছর পূর্ণ হতে হবে।
এক্ষেত্রে কথিত মনোনীত মহিউদ্দিন চাকুরীতে যোগদান করেছেন ২৯ জানুয়ারী ২০১৪ সালে। সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে তাঁর চাকুরির বয়স ৫ বছর পূর্ণ হয়নি। যা স্পষ্ট নীতিমালা লঙ্ঘন। তবুও মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ জেলা পর্যায়ে মনোনয়ন এর জন্য সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করেন।
সদর উপজেলায় আরও তিনজন সিনিয়র সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ পদক প্রত্যাশী ছিলেন। যাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। এরা হলেন- ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত মোঃ সাহাব উদ্দিন, ২০১০ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত লাভলী ইয়াছমিন এবং ২০১০ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত নাজিহা বিনতে আনোয়ার। এ বিষয়ে জেলাজুড়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কাজ করছে। কারণ সরকারের উদ্দেশ্য ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত করে কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ানো কিন্তু এইসব অনিয়মের কারণে কাজের প্রতি আরও অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তবে সবার মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করার বিষয়টি বেশ লক্ষ্যনীয়।