ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ রিপন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মানুষ। গত দিন মাঝরাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। বৃষ্টির মতো শিশির ঝড়ছে। এতে জেলার চরাঞ্চলের লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ১৯ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত সূর্যের আলো মিলেনি। ফলে ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল এবং নিম্ম আয়ের শ্রমজীবীরা। শিশু, বয়স্ক ও এজমা রোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার ফলে সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহে বয়ে যাচ্ছে। সে কারনে, বৃহস্পতিবার সকালে বেলা বাড়লেও সেভাবে সূর্যের আলো দেখা যায়নি।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আজ নোয়াখালীতে তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু -তিন দিন তাপমাত্রা এটার কাছাকাছি থাকবে।