নন্দিপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ২০ জুলাই আনুমানিক বিকাল ৪.৩০ টায় খিলগাঁও থানার নন্দিপাড়ার ১০৭১ দাগের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আইয়ুব আলীর বাড়িতে বিল্লাল হোসেন এর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার গলায় থাকা প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিল্লাল হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুল হকের খুব কাছের মানুষ।
ঘটনাটি ঘটে আইয়ুব আলীর বাসার সাথে তার এবং তার আত্মীয় বিল্লাল হোসেন এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠা গরুর খামার ঘিরে।
বিল্লাল হোসেন একটি ক্ষুদ্র ঋণদান সমিতি পরিচালনা করেন। একারণে প্রায়ই ঋণ গ্রহীতাদের সাথে বিল্লালের ঝামেলা লেগেই থাকে। এমনকি সে অনেক সময় লোকজন ধরে এনে উক্ত গরুর খামারের মধ্যে বেঁধে রাখে এবং অত্যাচার করে।ফলে অনেক সময় পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা এসে জনাব আইয়ুব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। এতে করে আইয়ুব আলী সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হলে তিনি তাঁর ব্যবসায়ীক অংশীদার বিল্লালের এহেন কার্যকলাপের বিরোধিতা করলে বিল্লাল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে এই ঘটনা ঘটায় বলে আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া দাবী করেন।
এ ঘটনায় আইয়ুব আলীর কন্যা ফাতেমা আক্তার প্রিয়া আহত হন। তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করানো হয়।
এ ব্যাপারে বিল্লাল হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত জব্বার মিয়া কে প্রধান আসামী করে ৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৬৭/৩৪৫, তাং ২১.০৭.২০ইং।
অন্যান্য আসামীরা হলেন আমির হোসেন (৩৫), পিতা – ঐ, মুক্তা আক্তার (১৯), স্বামী- বিল্লাল হোসেন, ফজর আলী (৬০), পিতা – মৃত জব্বার মিয়া, আফসার উদ্দিন আফসু (৩৭), পিতা – আঃ রশিদ সরকার, আঃসত্তার (৪৫), পিতা- মৃত হযরত আলী, মোঃ আলমাস (৫০), পিতা-মৃত জব্বার মিয়া এবং জেসমিন আক্তার (৪৫), স্বামী-আলমাস।
এদিকে থানায় মামলা করায় উক্ত আসামীরা বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টিসহ প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে আজিজুল হককে সমর্থন না করায় একই এলাকার নিবাসী বেবি এডুকেশন এর প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম চরম বিপাকে পড়েন। যার বিস্তারিত দৈনিক নয়া দিগন্ত, ০১ জুন ১৯ এ প্রকাশিত হয়েছিল।
ফাতেমা আক্তার প্রিয়া ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছে।