দেশব্যাপী সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রচলিত ধর্ষণ বিরোধী আইনের সংশোধনের দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ঢাকা মহানগর শাখা। এতে দেশব্যাপী নারীদের নিরাপত্তা প্রদানের ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেন সংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার (৮অক্টোবর) বিকাল ৪টায় সংগঠনের উদ্যোগে শাহবাগ চত্তর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি টিএসসি চত্তর প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ঢাকা মহানগরের সভাপতি ইয়াতুননেসা রুমা'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানভীন আহমেদ এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, সহ-সভাপতি অতুলন দাস আলো, গার্হস্থ নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আক্তার নাহার, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাসিদুল ইসলাম ইমরান, সাহিত্য সংস্কৃতির ও ক্রিড়া সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক হিসাম খান ফয়সাল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুমাইয়া ঝরা প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও আজও নারীদের নিরাপত্তা নেই এ দেশে। কথিত উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায় সরকার। অথচ কোথাও নারীর নিরাপত্তা নেই। সরকার দলীয় সংগঠনের নেতারা প্রতিনিয়ত ক্ষমতাবলে নারীদের ধর্ষণ করে যাচ্ছে। তারা বলেন, সর্বশেষ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে ক্ষমতাসীন দলের গুণ্ডাদের ধর্ষণ পরবর্তী নির্যাতনের দৃশ্য দেখেছে পুরো দেশের মানুষ। এর আগে সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের নেতারা সে ঘটনাও মানুষ দেখেছে। কিন্তু তাতেও সরকারের টনক নড়ছে না। পৃথিবীর সব দেশে ধর্ষণের বিচার হয়, শুধু এদেশেই ধর্ষণের বিচারে বিলম্ব হতে দেখা যায়। শতশত ধর্ষণ মামলার এখনো কোন সুরাহা হয়নি। বক্তারা আরও বলেন, সরকার দলের ক্ষমতার দাপটে তাদের নেতাকর্মীরা এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব অপরাধ নির্মূল হচ্ছে না। ধর্ষণের ঘটনায় প্রচলিত আইন অকার্যকর। এই আইনের সংশোধন করা জরুরী।