দেখতে এলেন ট্রেন দুর্ঘটনা, পেলেন চাচা-চাচির মরদেহ

বাংলাদেশ

হ্মণবাড়িয়ার কসবায় আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ও আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে অনেক উৎসুক জনতাই এসেছেন। কেউ হয়তো পরিবার-পরিজনের খোঁজে, আবার কেউ বা দুর্ঘটনার পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন। এমনই একজন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদৎ। তিনিও দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শনে এসেছিলেন।

 

কিন্তু এখানে এসে তিনি নিজের চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমার (৪৩) মরদেহ পেলেন। নিথর দেহে কসবা উপজেলার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন তারা।

শাহাদৎ জানান, মন্দবাগ এলাকায় ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন তিনি। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দু্র্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন মরদেহ দেখতে। এসে বারান্দায় থাকা নিজের চাচা মজিবুর রহমান ও চাচি কুলসুমার মরদেহ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি আরও জানান, মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িকে ফিরছিলেন। সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের ছেলে ফোন দিয়েছে খবর জানতে। আমি এখনও চাচা-চাচির মৃত্যুর খবর বাড়িতে জানাতে পারিনি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদেরর পরিচয় শনাক্ত করছেন। এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাাদ এলাকার আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসুফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.