দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৪নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দ কেরানীপাড়ায় মো: মিনহাজ (১৫) নামে এক কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ও  সংবাদ প্রকাশ হলে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয় পড়ে। এতে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। ঘটনার বিস্তারিত অবহিত হয়েছে ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান নির্যাতিত কিশোরের স্বজনদের ডেকে নিয়েই মামলা রুজু করেন।

থানার থেকে প্রাপ্ত তথ্য মামলা সৃত্রে  ঘোড়াবান্দ কেরানীপাড়া গ্রামের মোঃ হাবিবর রহমানের ছেলে মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (৪৫) তার স্ত্রী  মোছা: রমেনা বেগম (৪০) ও সহযোগী মোঃ রমজান আলীর ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫) কে আসামী করা হয়।

ঘটনা বিরবণে জানা যায়,  আসামীর বাড়ীতে আবু বকরের ছোট মেয়েকে আরবী শিক্ষা দিয়ে আসছিল মিনহাজ।  গত ২৯ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ছোট মেয়েটি পড়া না পারায় মিনহাজ মেয়েটিকে একটি চর -থাপ্পড় মারাকে কেন্দ্র করে তাকে মিথ্যা  অপবাদ দিয়ে মিনহাজ (১৫) নামে ওই কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগী কায়দায় শক্ত বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালানোর একপর্যায় সে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো:নুর, রফিকুল ইসলাম ও হাফিজুল মিনহাজকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা,মোঃ আনোয়ার উল্ল্যাহ মিনহাজের ভর্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এঘটনার পর নির্যাতিত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে ৩০ এপ্রিল বিকালে বীরগঞ্জ থানায় এসে ১৮৬০ সালের ফৌজদারি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং -৬ তারিখ ৩০/৪/২০২০ ধারা ৩৪২.৩২৩.৩২৫.৩০৭.৫০৬.১১৪.। মামলা দায়ের পর রাতে বীরগঞ্জ থানার এস আই আলন চন্দ্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামি আবু বকর সিদ্দিক ও সহযোগি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।