দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অর্থ অভাবে পঙ্গুত বরণ করতে যাচ্ছে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র সাকিব

বাংলাদেশ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সাকিব হাছান রতন নামে এক ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র’র এক পাঁ হারাতে বসেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন তার ডান পাঁ কেটে ফেলতে হবে। দুর্ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্র সাকিব হাছান রতন উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পুর্ব নারায়নপুর গ্রামের মতিয়ার হোসেনের ছেলে ও উত্তর লক্ষিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।

স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে গত ৬ জুন বিকাল ৪টায় দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নরায়নপুর এলাকায় তার বাড়ীর সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক বেপরোয়া মটর সাইকেল চালক তাকে সজরে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় ভুটু বাবু নামে এক ফেরি ব্যবসায়ীও আহত হন।

স্কুল ছাত্র সাকিব হাছান রতনের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, মটর সাইকেলের চাপায় সাকিব হাছান রতনের ডান পাঁ একেবারে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়, এতে সাকিব গুরুতর আহত হয়। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে, অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা করার পর সাকিবকে ঢাকা হেলথ কেয়ার নামে একটি বে-সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এরপর সেখানে দির্ঘ ২২ দিন চিকিৎসা করানোর পর  চিকিৎসকেরা সাকিব হাছান রতনের ডান পাঁ কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়, অর্থ সংকটের কারনে গত ২৭ জুন সাকিব হাছান রতনকে তার পরিবার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। বর্তমানে সে বাড়ীতে আছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মতিয়ার হোসেনের দুই মেয়ে ও একমাত্র ছেলে সাকিব হাছান রতন। এদিকে একমাত্র ছেলে সন্তানের এই করুন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, সাকিব হাছান রতনের পিতা মতিয়ার হোসেন। সাকিব হাছান রতনের পিতা মতিয়ার হোসেন বলেন, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া তিন বিঘা জমি বন্দক রেখে এই পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসা খরচ চালিয়েছেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী) ডাক্তার শাহেন শাহ বলেছেন পাঁ কেটে ফেলতে হবে, এতে অনেক টাকার প্রয়োজন, এই টাকা তিনি কোথাও যোগাড় করতে পারছেন না, এই জন্য তিনি সমাজের বৃত্তবানদের নিকট সহযোগীতার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বললে খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের মন্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি ছেলেটির খোজঁ খবর নিতে তাদের বাড়ীতে যাবো, ব্যাক্তিগত ভাবে যতটুকু পারি তাকে সহোযোগিতা করবো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সমশের আলী মন্ডল বলেন বিষয়টি জানা ছিলো না, এটি আত্যন্ত মার্মান্তিক ও দু:খ জনক ব্যপার একজন ছাত্রের এরকম ঘটনা কষ্ট দায়ক। স্কুলের পক্ষ থেকে সহোযোগিতার জন্য বিষয়টি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষককের সাথে কথা বললো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.