বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ঘিরে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের ১০ দফা দাবিই তো মেনে নিয়েছেন বুয়েট উপাচার্য। তারপরেও তারা কেন আন্দোলন করবে, আন্দোলনের কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে?’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কোনো অপরাধ সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে রাজধানীতে মহিলা শ্রমিক লীগের সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এক দশক পর অনুষ্ঠিত হলো মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলন। শনিবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। এ সময় তার বক্তব্যে উঠে আসে আবরার হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ। জিয়াউর রহমান, বেগম জিয়া ও এরশাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্র ঢুকিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে কোনো ধরনের অপরাধ সহ্য করবে না বর্তমান সরকার।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কে কোন দল করে সেটা বিষয় না। খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি। অপরাধ যেই করুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নেবই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ। এত ছাত্র হত্যা হয়েছে। কয়টা ছাত্র হত্যার বিচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার থাকতে শুধু বিচার হয়েছে।’
সম্প্রতি ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে করা বিভিন্ন সমঝোতোর অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে গ্যাস রফতানি করা হলে বাংলাদেশেরই লাভ হবে।’
দেশজুড়ে নারীর ক্ষমতায়নে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার সবসময়ই কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’