যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। রবিবার ১২ জনকে আসামি করে আদালতে জমা দেওয়া হয়। আদালতে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি রাজেস বড়ুয়া। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন। গত বছরের ৩০এপ্রিল দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে বোরকা পড়া দুবৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তিনি। হত্যা মামলার প্রায় ১৪ মাস পর অভিযোগপত্রে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করল কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযোগপত্রে সুজন(২৮), মোঃ আকাশ ওরফে আরিফ(২৬), ইসমাইল(৪২), শাহ আলম(৩৬), অলিউল্লাহ(৩৭) ওরফে অলি হাসান, মনির হোসেন ওরফে কালা মনির(৪৪), সুমন হোসেন ওরফে ড্রাইভার সুমন(২৯), দেলোয়ার হোসেন দেলু(৩১), মোঃ রবি(২৮), মোঃ শাহ পরান(৩৮), মোঃ আল আমিন ওরফে শাহ আলী(২৬) ও মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম মাষ্টার (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জেরে গত বছরের ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে বের হলে বোরকা পরা কয়েকজন দুবৃত্ত জামালকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। জামাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এমন সময় স্থানীয়রা জামালকে উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দুইদিন (৩ মে) পর নিহত জামাল হোসেনর স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মোট ১৭ জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, মামলার তদন্তে বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ এনালাইসিস করে বাদির আনিত অভিযোগটি যাদের বিরুদ্ধে প্রমানিত হয়েছে তাদের নাম চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বিরুদ্ধে প্রমান পাইনি তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী পপি আক্তার বলেন, চার্জশিটের কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে জানতে পেরেছি হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে আমার স্বামী হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছি।