দৈনিক আজকের ডটকম স্টাফ রিপোর্টার লিটন সরকার বাদল
দাউদকান্দি উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো। শেষ মুহুর্তে উঠেছে বিশাল বিশাল আকৃতির বিভিন্ন নামের গরু। তবে দাম এখনো অনেক বেশি বলছেন ক্রেতারা। ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকার গরুও রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী হাটে ইতোমধ্যেই পুরুদমে চলছে পশু কেনা-বেচা। বিক্রেতারা বলছেন দাম বেশি নয় নায্যমূল্য পাচ্ছেন খামারিরা। পশুর হাট ইজারাদাররা বলছেন, শেষ সময় দাম কম বলছে ক্রেতারা।
একদিন পর পবিত্র ঈদ উল আজহা। এরই মধ্যে শেষ সময়ে দাউদকান্দি জমজমাট কোরবানির পশুর হাটগুলো। বাজারগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটছে প্রচুর, বিক্রিও হচ্ছে ভালো। শেষ মুহুর্তে উঠেছে বিশাল বিশাল আকৃতির
বিভিন্ন নামের গরু। তবে দাম এখনো অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।
দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, রায়পুরসহ অনেক বাজারে বড় বড় গরু উঠেছে বেশি। বড় জাতের সাড়ে ১ লাখ থেকে ৪ লাখ, ছোট জাতের গরু ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার গরু পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার দাম তেমন বেশি না। এবার ভারতীয় গরু না থাকার সুযোগে বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছেন, কিন্তু পশুর হাট ইজারাদাররা বলছেন শেষ সময়ে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে
এ প্রসঙ্গে দাউদকান্দি পৌর এলাকার মোঃ ফফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্ট করে গরু লালন-পালন করেছি। বাজারে গরুর খাদ্যের দাম বেড়েছে, কর্মচারিদের বেতন বেড়েছে। সব মিলিয়ে কোরবানির পশু লালন পালনের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। আশা রাখি আমরা ন্যায্য দাম পাবো।
কুমিল্লায় এবার ৩৯৩ টি স্থানে বসছে পশুর হাট। এরমধ্যে স্থায়ী হাট ৪৪টি, অস্থায়ী ৩৪৯টি। বড় বাজারের মধ্যে রয়েছে নেউরা, চাঁন্দপুর, বিবিরবাজার, চাঙ্গিনী, চৌয়ারা, চকবাজার পশুর হাট। এবার কুমিল্লার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় নায্যমূল্য পাওয়ার আশায় রয়েছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের বলছেন, দাম স্বাভাবিকই আছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই কুমিল্লার বাজারগুলোত হাজার হাজার গরু আসেতো ভারত থেকে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। তাই গরু পালন করে
বাজার ইজারাদার মোস্তফা চৌধুরী বলছেন এখন দাম খানিকটা বেশি হলেও ঈদের আগমুহুর্তে দাম আরো কমে আসবে। বাজারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে এবং হাসিল কম নেয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,
বাজারগুলোতে যথেষ্ট পরিমান নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান।