করোনা আর লকডাউনের প্রভাবে দিনমুজুরদের কর্মে ভাটা পরেছে।ঘরে খাবার নেই। চুলায় রীতিমত আগুন জ্বলেনা। কোভিড-১৯ ভাইরাসের ছোবলে নিত্য কর্মব্যস্ত মানুষেরা আজ একেবারে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
গুণে ধরা এ সমাজে যখন অসহায় মানুষগুলোকে মানবতার তাগিদে অনেক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনসহ ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এগিয়ে আসছে সহযোগীতার হাত বাড়াতে এমন কল্যাণকর সময়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে নিজের সর্বস্ব দিয়ে বুকের ভালোবাসা উজার করে অসহায় মানুষগুলোকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দাউদকান্দি মডেল থানায় কর্মরত চৌকস অফিসার এএসআই মোঃ শরীফুল ইসলাম। নিজের কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি গোপনে নিরন্ন মানুষের পাশে ছুটে চলছেন সাহায্য করতে।
কাউকে দিচ্ছেন নিজের অর্থ ব্যয় করে চাল-ডাল, আবার কাউকে দিচ্ছেন নিজের পকেটের নগদ অর্থ।
তার এমন মানবিক হৃদয় দেখে দাউদকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ সভাপতি সোহেল রানা বলেন," এএসআই শরীফ সাহেব যেমন দায়িত্বশীল তেমনি কর্মদক্ষতার পুলিশ অফিসার ও একজন মানবতাবাদী পুলিশ। তার কাছে কেনো আবদার নিয়ে যেকেউ গেলে তিনি ঐ ব্যক্তিকে খালি হাত ফিরান না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে এমন অফিসার আছে বলেই বাংলাদেশ পুলিশের নাম আজ উজ্জ্বল। তার মেধা ও মানবতার আলো এ সমাজকে আলোকিত করবে এ প্রত্যয় আমি ব্যক্ত করছি।"
এএসআই শরীফ হোসেন বলেন, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যেদিন পুলিশের পোশাক গায়ে জড়িয়েছি সেদিনই শপথ নিয়েছিলাম, দেশ ও জাতির সংকটে নিজেকে উৎসর্গ করার।আমি চাই এদেশের প্রতিটি মানুষ দুধে-ভাতে খাক।
মানুষের দুঃখ-কষ্ট আমাকে ভীষণ জ্বালা দেয়। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি সবসময় অসহায় দুঃস্থদের সহযোগীতা করতে।তবে আমার ম্যাসেজ একটাই দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম স্যারের মতো
জাতির এমন করুণ ক্রান্তিকালে দেশ ও সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে।ত্রাণের ও যাকাতের যদি সঠিক ও সুষম বন্টন হয় তবে কেউ অনাহারে থাকবে না।"