দর্শনা রেল বাজারে প্রবেশ মুখে স্বাস্থ্য বিধি সুরক্ষায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পক্ষ দর্শনা রিক্সা স্ট্যান্ড বটতলায় থেকে জীবনু-নাশক স্প্রে টানেলের উদ্বোধন করলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর। গতকাল বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধনের পর জীবনু-নাশক স্প্রে টানেলের কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে রেল বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জীবানুমুক্ত হয়ে বাজারে স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে নির্বিঘ্নে বাজারে প্রবেশ করে তাদের কেনা-কাটা করছে। এছাড়া তিনি সকাল ৯টায় দর্শনা অংকুর কেজি স্কুল মাঠে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য উপহার প্রদান করেন। এরপর জীবনু-নাশক স্প্রে টানেল উদ্বোধন শেষে চুয়াডাঙ্গার উদ্যেশে চলে যান। বাজার কমিটির উদ্যোগে বাজারের সব কয়টি প্রবেশ মুখে জীবানু-নাশক দিয়ে চটের বস্তা ভিজিয়ে রেখেছে এবং যুব ফোরামের মাধ্যমে প্রত্যেক ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে স্যানিটাইজ লাগিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া বাজারে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রবেশ নিষেধ করছেন। সবচেয়ে এবার রমজানের বাজার ব্যবস্থাপনায় করোনা মুক্ত রাখতে তাদের এ উদ্যোগ বেশ প্রসংশা পেয়েছে। এছাড়া বাজারের ভিতর বাই-সাইকেল,মোটর-সাইকেল,ভ্যান রিক্রা, আলমসাধু ও অটোরিক্রা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ক্রেতারা নির্বিঘ্নে তাদের দুরুত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা করতে পারছে। জীবনু-নাশক স্প্রে টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলার চেয়ারম্যান আলী মুছুর বাবু, উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস এস মুনিম লিংকন, দর্শনা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের অর্থ পরিচালক আমিরুল ইসলাম ও সমন্বয়কারী কিতাব আলী প্রমুখ। এছাড়া গত মঙ্গলবার বাজার ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর। এ সময় তিনি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহব্বান জানান। এছাড়া তিনি সেচ্ছাসেবকদের দিয়ে সকল ক্রেতা- বিক্রেতাদের সকলকে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে দেওয়ার জন্য বাজার কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকাকে প্রসংশা করেন। সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার এর সাথে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান. দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল প্রমুখ। উল্লেখ্য জীবনু-নাশক স্প্রে টানেলের নির্মান করে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সরকার এবং কারিগরী সহযোড়িতায় ছিলেন মঈনুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুবুর রহমান মুকুল।