সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে উদ্ধারকৃত ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ বালাগঞ্জের যুবক ইউনুছ আহমদ শামীমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ইউনুছ আহমদ শামীম (৩৮) বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে। শামীম সিলেট জেলা বারে আইনজীবী সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। শামীম ৩ছেলে ও ১কন্যার জনক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ শামীম গত সোমবার (০৮ জুন) রাত ৯টার দিকে সিলেট এয়ার্পোট এলাকার নয়াবাজার বড়শালা বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন মধ্যরাতের পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। এরপর গত বুধবার (১০ জুন) বিকাল ৪টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উত্তর সিলাম (ধোপাঘাট) এলাকার সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশ থেকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ একটি ‘বস্তাবন্দী অজ্ঞাত মৃতদেহ’ উদ্ধার করে। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি জানাজানি হলে নিখোঁজ ইউনুছ আহমদ শামীমের আত্মীয়-স্বজন সংবাদ পান এবং সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। ময়না তদন্ত শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল ৩টার দিকে শামীমের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ ইউনুছ আহমদ শামীমের চাচাতো ছোটভাই ইউছুফ আহমদ চেরাগ আলীসহ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী অভিযোগ জানিয়েছেন, নিহত ইউনুছ আহমদ শামীম ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে’। এদিকে বুধবার (১০ জুন) বিকালে ‘বস্তাবন্দী’ অবস্থায় অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইন-চার্জ খায়রুল ফজল ইতোপূর্বে সাংবাদিকদের কাছে সত্যতা স্বীকার করেন।