তিনি কখনো সংসদ সদস্যের (এমপি) ছোট ভাই, কখনো পুলিশ, আবার কখনো পরিচয় দিতেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার। এসব পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। এমন প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম মিজানুর রহমান (৩৮)। তিনি চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের দোতলা গ্রামের মৃত আজিজ ব্যাপারীর ছেলে। তার কাজে ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানীর ৬টি সিম উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার (২৬জুন) দুপুরে তাকে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া। থানা সূত্রে জানা গেছে, দেবিদ্বারে স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মাসুদসহ বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে পুলিশ কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধিদের নাম পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতেন মিজানুর রহমান। সম্প্রতি অলিল্লাহ নামে এক ব্যক্তির কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করার কথা বলে ৫৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মিজান। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেন মিজান। এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন অলিউল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। এছাড়াও একাধিক ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রতারণার দায় স্বীকার করে গ্রেফতার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল কোম্পানীর বিভিন্ন সিম ব্যবহার করে দেবিদ্বারের এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মাসুদ রানার পরিচয়ে বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেছি। এছাড়াও কখনো পুলিশ বা জনপ্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করেছি। আমি অন্যায় করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দিন। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.নয়ন মিয়া বলেন, মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মাসুদসহ পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি ও অর্থ আদায় করে আসছিলেন। উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা হয়েছে। আদালতে তাকে পাঁচ দিনের রিমা-ের আবেদন করা হয়েছে। রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।