তিতাস উপজেলার নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে তদন্ত সোমবার

তিতাস উপজেলা

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ দাপে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার কারনে নির্বাচনি কর্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তদন্ত কমিটি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায় ৩১মার্চ ২০১৯ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম সংঘঠিত হওয়ায় ন্যায়সঙ্গত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি বিধায় নির্বাচন কমিশন, তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেন।

উল্লেখিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বন্ধের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও দায়ি ব্যাক্তিদের চিহ্নিতকরণের লক্ষে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ২৯-৩০ এপ্রিল ২০১৯খ্রিঃ তারিখে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সকাল ১০টা থেকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সময়সূচি অনুসারে এতে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীগণ,পর্যবেক্ষক ও পুলিং এজেন্টগণ, ভোটার,সাংবাদিক ও আগ্রহী জনসাধারণ,প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার,পোলিং অফিসার,ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, আনসার এর প্লাটুন কমান্ডার,দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ,থানা ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা তিতাস, রিটানিং অফিসার,জেলা নির্বাচন অফিসার,সহকারী রিটানিং অফিসার,উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা প্রশাসক কুমিল্লা, পুলিশ সুপার কুমিল্লা,র‌্যাব,বিজিবি ও কোস্টগার্ড এর প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য নির্বাচনের দিন দুপুর আনুমানিক ২টায় নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপজেলার দক্ষিন আকালিয়স্থ শিকদার বাড়িতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী(স্বতন্ত্র) মো. পাভেজ হোসেন সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ফরহাদ আম্মেদ ফকির সংবাদ সম্মেলন করেন এবং বেশ কয়েকটি  কেন্দ্রের ভোট বন্ধের দাবি করে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।

পরে বিকাল আনুমানিক সোয়া ৩টায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর উপসচিব এবং নির্বাচন পরিচালনা-২ মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে পুরো উপজেলার ৪৬ কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন আদেশ প্রদান করেন বলে জানা যায়।

যাহার পত্র নং-১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪০.০২৪.১৯.৩২১। এর আগে ৩১ মার্চ গভীর রাতে জোর পূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে ভোট গ্রহনের পূর্বেই ৩টি কেন্দ্র স্থগিত করেন রিটানিং কর্মকর্ত ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.