কুমিল্লা তিতাস উপজেলা কড়িকান্দি ইউনিয়ন বন্ধরামপুর গ্রামের মৃত রাইজ উদ্দিনের ছেলে সৌদী প্রবাসী মোঃ জালাল শিকদার বলেন আমাদের গ্রামের নয়া পাড়া সবুজ চকে মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মোঃ মোহর মুন্সী ও তার ভাগিনা মাজহারুল গংরা শ্যালো ইঞ্জিন এর মাধ্যমে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় আমার জমি পুকুরে পরিনত হয়ে যাচ্ছে।
আমার ত্রিশ শতাংশ ইরি জমি ছিল যা চাষাবাদ করতাম। শ্যালো ইঞ্জিন দ্বারা মাটি কাটার কারণে এখন এ জমিটি চাষাবাদে অনুউপযোগী হয়ে পরেছে,তাই ক্ষিপ্ত হয়ে মোহর মুন্সীর ভাগিনা মাজহারুল গংরা তাদের বাড়ীর পাশে আমার একটি জমি আছে সে জমি থেকে মাটি কাটার হুমকি দেয়।
এই হুমকির কারণে দ্রুত তিতাস থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের ভিত্তিতে তিতাস থানার তদন্ত ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, মোহর মুন্সিকে ফোন করিলে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।
সকালে জমিতে গিয়ে দেখতে পাই জমিতে কিছু অংশে মাটি কাটা, তারা মাটিকাটা বন্ধ করেনি, তারা রাতের আঁধারে আমার জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। আমি তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ সাহেব এর নিকট ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে মোঃ মোহর মুন্সী বলেন মোঃ জালাল শিকদারের নিকট আমি ২ লক্ষ ১২ হাজার টাকা পাই, পাওনা টাকা পাওয়ার লক্ষে আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দাখিল করি,এবং থানায় যাই।
পরিশেষে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে বিষয়টি মিমাংশার জন্য বসে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন লোভে পরে পক্ষপাতিত বিচার করায় আমি বিচারটি মেনে নেই নি।
মোহর আলী আরও বলেন শ্যালো ইঞ্জিন এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই আমার ভাগিনারা শ্যালো ইঞ্জিন চালিয়েছে যদি আশে পাশের কোন জমি ক্ষতি হয় তারা ক্ষতিপুরুন দিবে। এ বিষয়ে তিতাস থানার তদন্ত ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন অভিযোগ পাওয়ার পর আমি মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি,যদি রাতে মাটি কাটার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে সাংবাদিকরাও উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন করলে এক পর্যায়ে মোহর মুন্সির ভাগিনা ও বোন সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন, এবং ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মোহর মুন্সির বোন ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকে চারদিকে যা জমি আছে সব আমার, আমার জমিতে আমি মাটি কাটবো কে বাধা দিবে।
এই মাটি কাটা কে নিয়ে এলাকায় যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।